মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে এখন থেকেই তৈরি রাখা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালগুলি। কীভাবে কাজ এগোচ্ছে তার সবটাই নবান্ন থেকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের ছটি জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে বাড়তি চিকিত্সকও। কোনও অবস্থাতেই যেন তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলি তৈরি রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গ ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, ‘আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পরিকাঠামো প্রস্তুত হয়ে যাবে।’ তিনি জানান, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে শিশুদের পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট পুরো পুরি তৈরি আছে ও চলতি মাসের শেষের দিকে বাকি হাসপাতালগুলি তৈরি হয়ে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলির জন্য ২১৭ জন চিকিত্সকও চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর এগারোশোর বেশি চিকিত্সক পাস করে বেবোবেন। এঁদের মধ্যে কিছু সংখ্যক চিকিত্সক উত্তরবঙ্গের জন্য পাঠাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে গোটা রাজ্যের রণকৌশল বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের দিয়ে সমিক্ষা করাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের সব জেলাগুলিতে কী কী পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ও তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হবে এই সমিক্ষায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি করে আক্রান্ত হবে শিশুরা। তাই এ সম্পর্কে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্যে সরকার।উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন কয়েকটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের উত্তরবঙ্গ ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কোচবিহার, অলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে একটি করে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়িতে আরও একটি প্লান্টের কাজ চলছে। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে একটি এলএমও প্লান্ট তৈরি হয়েছে আরও একটির কাজ চলছে। ইসলামপুর সুপর স্পেশালিটি হাস্পাতাল, রায়গঞ্জে, বালুরঘাট ও মালদহের অক্সিজেনের এলএমও প্লান্ট বসানোর কাজ চলছে।
আগামী ১৫ আগস্ট এর মধ্যে প্রায় সবগুলো প্লান্টেই কাজ শুরু করা হবে। ওএসডি বলেন, আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালগুলিতে সাধারণ ওয়ার্ডেও শিশুদের রাখার ব্যাবস্থা আছে।
#Children, #corona, #covid19, #hospital, #pandemic,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন