শাসক হিসেবে তারা কেমন রানী মেরি থেকে বর্তমানের দ্বিতীয় এলিজাবেথ ? - আমার বাংলা নিউজ ২৪x৭

খবর ও লেখা সকলের জন্যে

ব্রেকিং

Home Top Ad

Post Top Ad

রবিবার, ৬ জুন, ২০২১

শাসক হিসেবে তারা কেমন রানী মেরি থেকে বর্তমানের দ্বিতীয় এলিজাবেথ ?

শাসক হিসেবে তারা কেমন রানী মেরি থেকে বর্তমানের দ্বিতীয় এলিজাবেথ ?

ব্রিটেনের রাজা-রানীরা শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের কাছে নয়, পুরো পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় উপমহাদেশ এক সময় অন্য আরও অনেক দেশের মতোই ইংল্যান্ডের উপনিবেশ ছিলো। তখন বৃটেনের রানী ছিলেন ভিক্টোরিয়া। হ্যানোভার বংশ ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসার পরই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করতে থাকে। টিউডর বংশের শেষ রানী প্রথম এলিজাবেথের সময়ই ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে আসা শুরু করে। তবে তখন তারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই আসত। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার শহরের ‘বাকিংহাম প্যালেস ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের প্রতীক। বাকিংহাম প্যালেস বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন। ব্রিটেনের সকল রাষ্ট্রীয় এবং রাজকীয় অনুষ্ঠান বাকিংহাম প্যালেসেই হয়ে থাকে। রাজবংশের আভিজাত্যের প্রতীক এই প্রাসাদের বর্তমান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সর্বোচ্চ সময় ধরে শাসন করছেন। জেনে নিন তার পূর্বে যেসব রানীরা রাজ্য চালিয়েছেন তাদের সম্পর্কে-

 

রানী অ্যান (৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৬৫- ১ আগস্ট ১৭১৪)

রানী অ্যানের আগে তার বোন রানী মেরির কথা আগে বলা উচিত। তবে রানী মেরি কখনোই এককভাবে রাজত্ব করেননি, রাজা দ্বিতীয় জেমসের মৃত্যুর পর তার মেয়ে মেরি ও মেয়ের জামাই উইলিয়ামকে যৌথভাবে রাজা রানী করা হয়। কিন্তু এই দম্পতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিঃসন্তান থাকায় রাজা জেমসের ছোট মেয়ে অ্যানকে মহারানী করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারও কোনো উত্তরাধীকারী না থাকায় ব্রিটেনে স্কটিশ স্টুয়ার্ট বংশের শাসনের  অবসান হয়। অ্যান তার চাচা দ্বিতীয় চার্লসের রাজত্বকালে জন্মেছিলেন। তিনি ছিলেন তার বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। তার বাবা দ্বিতীয় জেমস ও মা অ্যান হাইডি। অ্যান ও তার বোন মেরি ছাড়া তাদের অন্য ভাই বোনেরা শৈশবেই মারা গিয়েছিলেন। ছোট বেলা থেকেই অ্যান চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ছোটবেলা কেটেছে ফ্রান্সে ,দাদীর কাছে। দাদী মারা যাওয়ার পর তার আন্ট হেনরিয়েটার কাছে কিছুদিন ছিলেন। তারও মৃত্যু হলে অ্যানকে ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছরই অ্যানের মা মারা যান।

রানী অ্যান

রাজপরিবারের ঐহিত্য অনুসারে অ্যান ও মেরিকে তাদের বাবা থেকে আলাদা করে লন্ডনের রিচমন্ডে বড় করে তোলা হয়। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের নির্দেশনায় তাদের প্রোটেস্ট্যান্ট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিলো। ১৬৮৩ সালের ২৮ অ্যান ও প্রিন্স জর্জ অব ডেনমার্ক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৬৮৫ সালে অ্যানের বাবা দ্বিতীয় জেমস রাজা হন। অ্যান তার জীবদ্দশায় মোট সতেরো বার গর্ভধারণ করেছেন। কিন্তু কোনো সন্তানই দীর্ঘদিন বাঁচেননি। যেহেতু উইলিয়াম ও মেরিরও কোনো সন্তান ছিলো না, তাই তিনিই হাউস অব স্টুয়ার্টের শেষ জন। রাজা দ্বিতীয় জেমসের কোনো উত্তরাধিকার না থাকার অ্যানের বড় বোন ও তার স্বামী উইলিয়াম ও মেরিকে যৌথভাবে রাজা-রানীর মর্যাদা দেয়া হয়। মেরির বিয়ের সময় পক্সে আক্রান্ত হয়ে অ্যান তখন ঘরবন্দি। যতদিনে তিনি সুস্থ হলেন মেরি নেদারল্যান্ড চলে গেছেন তার পরবর্তী জীবন শুরু করতে। অ্যানের বড় বোন ও তার স্বামী একত্রে রাজত্ব করেন ১৬৯৪ সাল পর্যন্ত। মেরির মৃত্যুর পর উইলিয়াম একাই রাজত্ব করেন ১৭০২ পর্যন্ত। তার মৃত্যুর পর অ্যান বৃটেনের রানির মর্যাদা পান। জীবনের শেষের কিছু বছর তিনি খুবই অসুস্থ জীবন যাপন করেছেন। তিনি ৮ মার্চ ১৭০২ থেকে ১ মে ১৭০৭ পর্যন্ত ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রানী ছিলেন। ১ মে ১৭০৭-এ ’এ্যাক্টস অব ইউনিয়ন আইনের আওতায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড এক হয়ে গ্রেট ব্রিটেনে পরিণত হয়। এর ফলে তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের রানি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রানী প্রথম এলিজাবেথ (সেপ্টেম্বর ৭, ১৫৩৩‌ – মার্চ ২৪, ১৬০৩)

রানী প্রথম এলিজাবেথ ইংল্যান্ডের গ্রিনউইচে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন রাজা অষ্টম হেনরি। তিনি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বার বিয়ে করা রাজা। তার মা অ্যান বোলিন একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এদিকে রাজা তখন একটা পুত্র সন্তানের জন্য পাগল প্রায়। এলিজাবেথের বয়স যখন মাত্র আড়াই বছর তখন তার মা অ্যান বোলিনকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করা হয় এবং এলিজাবেথকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৫৫৮ সালের ১৭ নভেম্বর এলিজাবেথ রানী প্রথম মেরির স্থলাভিষিক্ত হন। প্রোটেস্ট্যান্ট বিদ্রোহীদের সহযোগিতা দানের অভিযোগে, এলিজাবেথ ক্যাথলিক অনুসারী মেরির শাসনকালে এক বছর বন্দী ছিলেন। পরবর্তীকালে রানী হিসেবেএলিজাবেথের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ইংলিশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ প্রতিষ্ঠা করা। রানী রাজনীতিবিদ হিসেবে ছিলেন তার সময়ের দক্ষ ও সেরা প্রশাসক। দেশে বিরাজমান ক্যাথলিক-প্রোটেস্ট্যান্ট দ্বন্দ্ব ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অত্যন্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে তিনি বিভিন্ন পাণিপ্রার্থী যুবরাজদের অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে সামলান। এলিজাবেথ তার বিয়ে ইস্যুটাকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছিলেন।

রানী প্রথম এলিজাবেথ

তার চিন্তা ছিল, যদি কোনো ভিনদেশী যুবরাজকে বিয়ে করেন তাহলে বিদেশনীতিতে অন্য দেশের প্রভাব পড়বে আবার দেশের মধ্যে কাউকে বিয়ে করলে অন্তর্কলহ হবে। তাই এলিজাবেথ পুরো জীবনেই বিয়ে করেননি। এর মাধ্যমে নিজেকে ভার্জিন কুইন হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার সৎবোন ও সিংহাসন এর অপর একজন নিকটবর্তী দাবিদার ম্যারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল রাজদ্রোহের অভিযোগে। মেরি ছিলেন স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের স্ত্রী। এবারে স্পেনের রাজা ইংল্যান্ড আক্রমণের যথোপযুক্ত কারণ পেয়ে যান। ১৫৮৮ সালে স্পেন ইংল্যান্ড দখল করতে আসে। সে সময় সব ব্রিটিশ সেনা ইংলিশ চ্যানেল পর্যন্ত চলে আসেন। রানী প্রথম এলিজাবেথ নিজেকে অনিরাপদ করে একেবারে সাধারণ সৈন্যদের মাঝে নেমে আসেন। সবাই তাকে এমনটা করতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন। শুরুতেই বলেন, তিনি বেশ নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে এসেছেন। তিনি তার সৈন্যদের বিশ্বাস করেন, তাই উপদেষ্টাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এটি ‘টিলবারির বক্তৃতা নামেই পরিচিত।  এলিজাবেথের দীর্ঘ শাসনকালে ইংল্যান্ড বিশ্ব পরিসরে নিজেদের অবস্থান জোরেশোরে জানান দেয়া শুরু করে। শিল্প, সাহিত্য, কবিতা, নাটকে ইংল্যান্ড সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে, যার কারণে এলিজাবেথের যুগকে ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে গোল্ডেন এজ বা সোনালি সময় বলা হয়। পুরো বৃটেনের ইতিহাসকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- এলিজাবেথের আগের যুগ আর তার পরের যুগ। এই সময় থেকেই মার্লো, শেক্সপিয়ার, বেন জনসনের হাত ধরে নতুন যুগের শুরু হয়। 

 

রানী ভিক্টোরিয়া (২৪শে মে, ১৮১৯ – ২২শে জানুয়ারি, ১৯০১)

কেনসিংটন প্রাসাদে রানী ভিক্টোরিয়ার জন্ম হয়। পুরো নাম আলেকজান্দ্রিনা ভিক্টোরিয়া, মা ডাকতেন দ্রিনা বলে। বাবা এডওয়ার্ড মারা যান, বয়স তখন এক বছরও পূর্ণ হয়নি তার। এরপর মা ভিক্টোরিয়াকে একাই বড় করে তোলেন। একজন জার্মান গৃহশিক্ষিকা ছোট থেকেই জার্মান এবং ইংরেজি দুভাষাতেই পারদর্শী করে তোলেন ভিক্টোরিয়াকে। প্রাসাদে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রানীর নিজের ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু ছিল না। তাই রানীর মুকুট মাথায় দেয়ার পর তাঁর প্রথম নির্দেশ ছিল, আমাকে এক ঘণ্টা একা থাকতে দাও। সতেরতম জন্মদিনে জার্মানি থেকে ভিক্টোরিয়ার আত্মীয়রা, খালাতো ও মামাতো ভাই-বোনেরা বেড়াতে আসে। প্রথম দেখাতেই প্রেম। ভিক্টোরিয়া বুঝলেন, অ্যালবার্টকে ছাড়া এই এক জীবন কাটানো সম্ভব নয়। কিন্তু বিধি বাম! ১৮৩৭ সালে রাজা চতুর্থ উইলিয়ামের মৃত্যুতে বাধ্য হয়ে বিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসতে হয় ভিক্টোরিয়াকে। বিপদে পড়েন দুজনই। ব্রিটেনের রানীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া এক অসম্ভব ব্যাপার। রাজপরিবারের সন্তানদের বিয়ের সম্বন্ধ হয় সাধারণত সাম্রাজ্যের কৌশলগত মিত্রের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত প্রথা ভেঙে রানীই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। সিংহাসনে বসার দুই বছর পর তাঁরা বিয়ে করেন।

ভিক্টোরিয়াই প্রথম প্রথা ভেঙে বিয়েতে সাদা গাউন পরেন। ঐতিহ্যবাহী ঢিলেঢালা ও রঙিন পোশাক তিনি পরলেন না। হীরকখচিত মুকুট না পরে পরলেন উর্বরতার প্রতীক কমলালেবু ফুলের মালা। পরে অবশ্য এই সাদা গাউনই খ্রিস্টান জগতে বিয়ের আদর্শ পোশাক হিসেবে গৃহিত হয়। কোন এনো বিচিত্র কারণে অ্যালবার্ট কখনও ব্রিটেনে জনপ্রিয় হতে পারেননি। তাই কখনো রাজা হওয়া হয়নি তার। কিন্তু ভিক্টোরিয়ার ভালোবাসা অ্যালবার্টকে জড়িয়ে রেখেছিলো আজীবন। বিয়ের পর প্রতিদিন একসঙ্গে কাজ করতেন তারা। তাদের ডেস্ক ছিল পাশাপাশি। প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের প্রচুর কাগজপত্র দেখতে হত রানীকে। পরের বছর রানীর প্রথম সন্তান ভিকির জন্ম হয়। মোট নয় ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের ঘরে।

এই দম্পতি বড়দিনের অনুষ্ঠান বেশ ঘটা করে উদযাপন করতেন। অ্যালবার্টের পছন্দের ক্রিসমাস ট্রি আর মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজানো হতো বড়দিনে। এরপর থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি, মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজানো, উপলক্ষে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো, উপহার দেওয়া ও বিশেষ রান্নার চল শুরু হয়। ১৮৩৭ এ রাজা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর, খুব সকালে ভিক্টোরিয়াকে জানানো হয় তিনি এখন ব্রিটেনের রানী। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রানীর সাথে দেখা করেন। ২৮ জুন প্রথা অনুযায়ী ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়। উপস্থিত জনতা রানী দীর্ঘজীবী হোক বলে স্লোগান দিতে থাকে। ব্রিটেনের আইন প্রণীত হত ব্রিটিশ সংসদে। সরকার কি করতে চলেছে তা জানাতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীরা রানীর সাথে দেখা করতেন। সামরিক প্রসঙ্গে নাক গলানোর ক্ষমতা ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ছিল না। তবুও রানী ভিক্টোরিয়া সৈন্যদের শীত থেকে বাঁচাতে মোজাসহ নানা সাহায্য উপকরণ পাঠান। যুদ্ধে স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে চিঠি লেখেন রানী ভিক্টোরিয়া। তিনিই সৈন্যদের সম্মানিত করতে পদক চালু করেন। ভারতে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে বহু ইউরোপীয় মারা যায়। এরপরই ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রয়েল টাইটেল অ্যাক্ট পাশের মাধ্যমে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন রানী ভিক্টোরিয়া। ১৮৬১ সালে ৪২ বছর বয়সে মারা যান ভিক্টোরিয়ার স্বামী অ্যালবার্ট। ভীষণ ভেঙে পড়েন রানী। সরকারি দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে দেন। এমনকি সংসদ অধিবেশন ডাকতেও অস্বীকৃতি জানান। স্বামী শোকে রানী ভিক্টোরিয়া বাকি জীবনের পুরো সময় কালো পোশাক পরে কাটিয়েছেন পত্রপত্রিকা রসিকতা করে লেখা শুরু হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে টু-লেট ঝুলছে। পরে তিনি নিজেকে সামলে নেন। আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯০১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যান। তার বড় ছেলে সিংহাসনে বসেন।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ (জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬)

ব্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি দীর্ঘতম সময় ধরে শাসন করছেন। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত রাজ সিংহাসনে আসীন রয়েছেন তিনি। এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজার হন। এলিজাবেথ ছিলেন তখন ব্রিটিশ সিংহাসনের একমাত্র উত্তরাধিকারী। ষোল বছর বয়সে তিনি প্রথম জনসম্মুখে আসেন। আঠার বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ব্রিটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ মৃত্যুবরণ করেন। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে রানী হন এলিজাবেথ। এলিজাবেথের দাম্পত্য সঙ্গী হলেন প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবরা। তাদের চার সন্তান রয়েছে। সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাটাচ্ছেন তারা। রানী এলিজাবেথের পর প্রিন্স চার্লস হবেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট। বৃটেন কত বছর পরে নতুন রানী পাবে, তারই অপেক্ষা……


খবর ও ছবি: সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad