রোডস এর ‘বিখ্যাত মূর্তি’
মাত্র ২৩ বছর বেঁচেছিলেন
মহাবীর আলেকজান্ডার। কিন্তু এই স্বল্প সময়েই তিনি পৃথিবীর অনেক অংশজুড়ে তার রাজ্য বিস্তার
করতে সক্ষম হন। আলেকজান্ডারের রাজ্যের মধ্যে আটলান্টিক সাগরের মেডিটেরিয়ান দ্বীপটিও
ছিলো। এ দ্বীপটি প্রাচীন গ্রিসের অন্তর্ভুক্ত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিলো। খ্রিস্টপূর্ব
২৮০ অব্দে এই দ্বীপে নির্মিত হয় এক বিশাল মূর্তি। এতে সময় লাগে ১২ বছর। এই মূর্তি
দুই স্তরে বিভক্ত। প্রথম স্তরটি ছিলো ৪০ মেট্রিক টন ওজন বিশিষ্ট পাথরের ভিত্তি। এই
ভিত্তির ওপর তৈরি হয়েছিলো মূর্তির মূল কাঠামো। মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিলো তামা দিয়ে,
প্রয়োজন সাপেক্ষে কিছু লোহাও ব্যবহার করা হয়েছিলো। ব্যবহৃত তামার ওজন ছিলো ২৫০ মেট্রিক
টন। এর উচ্চতা ছিলো ১২০ ফুট।
রোডসের মূর্তি নির্মাণের
পেছনের কারণটা বেশ মজার। কথিত আছে, মহাবীর আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার সেনাপতিদের
মধ্যে রোডস দ্বীপের দখল নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। রোডস দ্বীপের বাসিন্দারা ছিলো সেনাপতি
টলেমির সমর্থক কিন্তু আরেকজন সেনাপতি এই দ্বীপ দখল করে নিলে রোডসের বাসিন্দাদের সঙ্গে
যুদ্ধ বেঁধে যায়। পরে সেনাপতি টলেমির সৈন্য ও রোডসের বাসিন্দারা যুদ্ধ করে দ্বীপটিকে
শত্রুমুক্ত করে। কিন্তু সে সময় শত্রুরা চলে গেলেও ফেলে যায় অনেক তামা ও লোহা। আর এই
তামা ও লোহা ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করা হয় এই বিখ্যাত মূর্তি। খ্রিস্টপূর্ব ২২৮ অব্দে
এক প্রলংকরী ভূমিকম্পে মূর্তিটির এক পা ভেঙ্গে যায়। ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সারাসিন
জাতি রোডস দ্বীপ দখল করে মূর্তিটি ধ্বংস করে দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন