শিশুর দাঁতের যত্নআত্তি করুন এই ভাবে
শিশুর ছয়
থেকে সাত মাস বয়স হলে দাঁত ওঠা শুরু হয়। এসময়টায় শিশুতো কষ্ট পায়ই, বাবা-মায়েরও কষ্ট
হয়। দাঁত ওঠার সময় বাচ্চারা কান্না করতে পারে মাড়িতে ব্যথা হওয়ার কারণে, তখন মাড়িতে
চাপ দিলে শিশু আরামবোধ করে। কিন্তু বার বার হাত দিয়ে চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে
গাজর বা শসার ফালি ফিঙ্গার ফুড হিসেবে দিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে গলায় না
আটকায়। দাঁত ওঠার সময় শিশুকে প্রাকৃতিক উপায়ে আরাম দিতে কিছু টিপস দেয়া হল-
টিথিং রাস্ক
বা ফিঙ্গার ফুড শিশুর হাতে দিন। বাবুর হাতে দেয়ার জন্য পাতলা সুতীর কাপড় হালকা ভিজিয়ে
চিপে নিন এবং ফ্রিজে রেখে দিন। প্লাস্টিকের টিথার দিলে ভেঙ্গে যেতে পারে এমন কিছু আছে
কিনা পরীক্ষা করে তারপর দিন। অপরিষ্কার টিথার থেকে শিশুর পেট খারাপ হতে পারে তাই ভালভাবে
ধুয়ে দিন।
দাঁত ওঠার
সময়টা শিশুর লালা পড়ে বেশি, এতে মুখ ও চিবুকের চারপাশে র্য্যাশ দেখা দিতে পারে। তাই
কিছুক্ষণ পর পর শিশুর মুখের চারপাশটা মুছে দিন। বাবু যদি বেশী কান্না করে তবে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন।
দাঁত ও মাড়ির যত্ন কিভাবে নিবেন?
শিশুর দাঁত
ওঠার আগে মাড়ির যত্ন নেয়া শুরু করা উচিত। বেশীরভাগ বাবা-মা ভাবেন দাঁত ওঠার পর মুখ
বা দাঁত পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু জন্মের পর থেকেই শিশুর মুখের যত্ন শুরু
করা উচিৎ।
শিশুর দাঁত পরিষ্কার করার নিয়ম
প্রতিবার
খাওয়ানোর পর পাতলা পরিষ্কার সুতী কাপড় পানিতে ভিজিয়ে মাড়ি মুছে দেওয়া। বাবু আস্তে আস্তে
এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পরে ব্রাশ ব্যবহারে সমস্যা হবে না। দাঁত ওঠার আগে মাড়িতে ছোট্ট
একটি গর্ত তৈরি হয়, এই গর্ত ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর জন্য আদর্শ। তাই মাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার
রাখা উচিত।
দাঁত ওঠার
পর নিয়ম করে অবশ্যই দিনে দুবার দাঁত মাজতে হবে। শিশুদের দাঁত ও মাড়ি অনেক সংবেদনশীল
হয় তাই তাদের জন্য তৈরি নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
বয়স দেড়
বছর হলে শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। এগুলোতে ফ্লুরাইড অনেক
কম থাকে। প্রথমে বাবা মা দাঁত ব্রাশ করিয়ে দেবেন। শিশুকে নিজে নিজে ব্রাশের অনুশীলন
করাতে হবে যতদিন পর্যন্ত না শিশু নিজে করতে পারে।
কয়েকটি ব্যাপারে
খেয়াল রাখা প্রয়োজন, দুধ, ফলের জুস বা শুকনো ফল খাওয়ার পর দাঁত মেজে দিন না হলে ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণ হতে পারে। প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলে দিন। ব্রাশ ব্যবহারের পর শুকাতে
পারে এমন জায়গায় রাখতে হবে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন